বিয়ের পর মেয়েরা বিন্দাস জীবন কাটায় আর অসম্ভব সব সুখে বিমোহিত থাকে

বিয়ের পরবর্তী জীবনটায় নারীরা আসলেই দারুণ বিন্দাস আর অসম্ভব মজার একটা জীবন কাটায়। এ সময়টায় নারীর স্বাভাবিক জীবনে তেমন একটা অস্বাভাবিক টানাপোড়েন নেমে আসেনা বরং কেবলমাত্র আরও নতুন কিছু সুখ আর দারুণ এক্সক্লুসিভ সুযোগ-সুবিধা যুক্ত হয়।

 

 

বিয়ের পরবর্তী জীবনে নারীর সুখঃ

১. বিয়ের পরেও আগের মতোই বসে খায় আর পাড়া-প্রতিবেশী আত্মীয়-স্বজন কিংবা কর্মস্থলের অন্য নারীদের সাথে ঠাঁঁট বজানোর প্রতিযোগিতামূলক অসুস্থ উত্তেজনা জিইয়ে রেখে স্বামীর মেহনতি পকেট খালি করে।

২. বিবাহ র্পূবাবস্থার মতোই পড়ে পড়ে ফালতু বস্তপঁচা অযৌক্তিক সিরিয়াল গেলার অফিসিয়াল স্বীকৃতি পায়।

৩. বিয়ের পর বেশিরভাগ নারীই কৃত্রিম বিত্তের ভাব দেখিয়ে পাড়া-প্রতিবেশীর থেকে বাহবা কুড়োতে গিয়ে বেচারা স্বামীর দিনরাত এক করে মেহনত করা পয়সার অমানবিক অপচয় করে ।

৪. বিবাহ পরবর্তী সময়ে একজন নারীর যথেষ্ট অলস সময় পায় নষ্ট করবার মতো। যেমন বৃষ্টির দিনে বৃষ্টিবিলাশ করে, বৃষ্টিতে ভেজার জন্য নাঁকি কান্না করে, অসুস্থ হলে আবার সে হ্যাপা স্বামীর উপরেই বর্তায়।

৫. বিবাহিত নারী খায়-দায়-ঘুমোয়, আমোদ করে পাড়ার লোক স্বজনদের সাথে আলাপ করে চমৎকার সব নির্ঝঝঞ্ঝাট বিকেল কাটায়।

৬. বিয়ের পরেও নারীর জন্য কাজের ছাড়। যেমন ঘোর-দোর পরিস্কার রাখতে ঠিকে বুয়া-ঝি, রান্নাতে ভাত রাধার অটোমেটিক রাইস কুকার, অটোমেটিক কারি কুকার, অটোমেটিক মাইক্রোওভেন সহ আরও কতো কি। (এতো সময় বাঁচিয়ে সেইসময়গুলো করেটা কি, এরা ?)

৭. বিবাহিত নারী কর্মজীবী হলেও সমস্ত দায়-আবদার একতরফাভাবে স্বামীর অর্থেই মেটায়। সংসারে পুরুষটি একেবারে বেকায়দায় না পড়লে তার রোজগারের টাকা কখনই কন্ট্রিবিউট করেনা।

এতোখানি পড়ে নিশ্চয় ভেবে বসেছেন বিবাহিত নারীর রান্না-বান্না, ঘরদোর আগলানো, শ্বশুড়-শাশুড়ীকে দেখাশোনা, সন্তান সামলানোর কথা ?

তাহলে চলুন

একবিংশ শতাব্দীর তথাকথিত স্বাধীনচেতা মেয়েরা আজকাল ওসব আর করে ?

 

সুতরাং এ কথা অনস্বীকার্য যে, বিয়ের পরেও একজন নারীর রোজকার জীবনের রুটিনে তেমন কোনোও পরিবর্তন ঘটেনা বরং যেসমস্ত কর্মকান্ড বাপের বাড়িতে করবার সাহস ও সুযোগ পেতনা সেগুলোও স্বামীর ঘাড়ে চেপে বসে করার সুযোগ পায়।

বরঞ্চ বলা চলে, নারীর জীবনটা বিয়ের পরে আরো সহজ-সাবলীল ও একতরফা নীরব কর্তৃত্ববাদী  হয়ে উঠে।

তারপর... স্বামীর ভালোবাসা, যত্ন ও পারস্পরিক বোঝাপড়া এবং নিজে বেকার বসে থেকে স্বামীর পয়সা উড়ানোতে তার জীবন হয়ে উঠে মুখরিত উদ্ভাসিত সাফল্যমণ্ডিত ।

(এমনটাই অবশ্য হওয়া উচিত বলে উগ্র নারীবাদীরা অলীক দিবাস্বপ্ন ভেবে ভেবে কমবয়েসী অন্য নারীদের ভুলে ভরা মন্ত্রণায় মগজধোলাই করে চলেছে প্রতিনিয়ত)

 

অন্যদিকে বিয়ের শুরুর সময়টা থেকেই একটা ছেলের জীবন আর কোনওভাবেই আগের মতো স্বাভাবিক স্বতঃস্ফুর্ত থাকেনা, কারণঃ

১. নিজের পরিবার-পরিজনকে বোঝাতে হয় সে সামর্থ্যবান ও বড় হয়েছে।

(তারজন্য কি আর কম কাঠখড় পোড়াতে হয় ? )

 

২.  বিয়ে করে নিজের আলাদা একটা সংসার পাতবার জন্য মা-বাবা-ভাই-বোনদের টেকনিক্যালি পাশ কাটিয়ে মন কষাকষি করে স্বতন্ত্র হবার ধাক্কা সামলাতে হয় বেচারা পুরুষকে।

৩. নতুন সংসার শুরু করতে গিয়ে নিজের পরিবারের সাথে নতুন পরিবারের আত্মীয় মানুষগুলোর হাবভাব বুঝে নিতে গিয়ে ও সামাজিক প্রথা সামলাতে আর্থিকভাবে দারুণ হিমশিম খেতে হয় বেচারা পুরুষকে।

৪. ক'দিন আগেও যে ছেলে মায়ের থেকে জেনে নিতো তার জামা কোথায় রাখা হয়েছে। সেই কিনা বিয়ের পরে নতুন সঙ্গীর সাথে নতুন পরিবেশে নিজেকে মানিয়ে নেওয়ার জন্য প্রতিনিয়ত সংগ্রাম ও ত্যাগ স্বীকার করে, নিজের সব ব্যক্তিস্বাধীনতা নতুন স্ত্রীর জন্য বিলিয়ে দেয় অসীম মহানুভবতায়, অবলীলায়....।

৫. বিয়ের পর বেচারা পুরুষ বউয়ের পক্ষে গেলে মা মনঃক্ষুণ্ন, বউয়ের পক্ষে গেলে মা মনঃক্ষুণ্ন।

(মাঝ থেকে পুরুষটির এতোকালের পুষে রাখা সাংসারিক সুখস্বপ্ন ও মেহনত রীতিমতো ভেঙে চৌচির । )

৬. রান্নার প্রশংসায় মায়ের সুনামে স্ত্রীর মুখ ঝামটা আবার স্ত্রীর রান্নায় প্রশংসা করলে মায়ের রক্তাক্ত হৃদয় সামলাতে হয় বেচারা পুরুষকে।

(বেচারা পুরুষ বাড়ি ছেড়ে তুমি যাবে কই ?)

৭. যে ছেলেটা নিজের সবচে বেষ্ট ফ্রেন্ড, পরিবার পরিজনদের জন্যেও গুণে গুণে পয়সা খরচ করতো। সেই হাড়কিপটে ছেলেটাই কিনা বিয়ের পরে স্ত্রীর কাছে ঘাম-ঝরানো রোজগার হাতে তুলে দিয়ে দিলদরিয়া সাজে।

(তবুও দিনশেষে নারীগণ কৃপণ ট্যাগ দিয়ে অকৃতজ্ঞতা প্রকাশ করেন)

৮. যে ছেলেটা একেবারে নিরীহ গো-বেচারা সেও বিবাহের পর তার নারী সঙ্গীর জন্য হলেও নিজেকে আমূল পরিবর্তন করে নারী সঙ্গীর রক্ষণাবেক্ষণ ও আরাম-আয়েশের উদ্দেশ্যে।

(তবুও পুরুষ তুমিই যতো খারাপের চূড়ামণি, নারীর চোখে...)

৯. বিয়ের কথা-বার্তা শুরুর সময় থেকেই একটা ছেলে প্রচুর মানসিক প্রেশার নিয়ে ফেলে। নতুন স্ত্রীকে কোথায় রাখবে, সেজন্য বসতবাড়ি ঠিক করে সুন্দর করে সাজানো, আগত নতুন মানুষটির যাতে বিন্দুমাত্র কষ্ট পোহাতে না হয়

(তারপরও খুঁত বের করে এবং সেই স্ত্রীর মুখেই সময়ে সময়ে অভিযোগ শুনতে হয় কি পেলাম তোমাকে বিয়ে করে)

এরকম অবর্ণনীয় অসংখ্য ছোট ছোট ঘটনা চোখের আড়ালে আবডালেই সমগ্র পুরুষের জীবনে ঘটে যাচ্ছে প্রতিনিয়তই। অথচ উগ্র নারীবাদী জঘন্য মহিলাদের চোখে পৃথিবীর সকল দোষ কেবলই পুরুষের। যেনো পুরুষই তাবৎ পাপের জন্য একলাই দায়ী।

 

কিন্তু পুরুষকে তার স্ত্রীর যাবতীয় সকল পছন্দ-অপছন্দ, ভালো'লাগা- খারাপ'লাগা, সমস্ত ভরণপোষণ, শখ-আহ্লাদ  ইত্যাদি সম্পর্কে সম্যকভাবে অবহিত হয়ে তটস্থ থাকতে হয় সর্বদা, যেনো পাড়া-প্রতিবেশী, সমাজ-রাষ্ট্র, আত্মীয়-অনাত্মীয়রা পুরুষটির ভুল ধরতে না পারে, যেনো বলতে না পারে পুরুষটির হাতে মেয়েটিকে তুলে দেবার সিদ্ধান্ত ভুল ছিলো।

 

এছাড়াও, একটা ছেলেকে বুঝে নিতে হয় তার নতুন স্ত্রীর দায় ও দায়িত্ব, নিতে হয় রাষ্ট্র-ধর্ম-সমাজের তথাকথিত সার্টিফিকেট। যাতে, নারী তার পরগাছা তত্ত্বের গোপন এজেন্ডা চালিয়ে যেতে পারে বছরের পর বছর, শতাব্দীর পর শতাব্দী... যেনো নারী খুব করে আরামে বসে থেকেও হুকুম করতে পারে চাকররূপী স্বামীকে । 

( উগ্র নারীবাদী নারীরা দায়িত্ব বলতে সন্তান জন্মদান ও স্বামীর পয়সা উড়ানোতেই সীমাবদ্ধ রাখে নিজেকে... ব্যস...)

 

এতোসবের পরেও সেই পুরুষকেই যত্নআত্তি করতে হয় তার শ্বশুর-শাশুড়ি, জন্মদাতা বাবা-মায়ের প্রতি আর যদি ছোট ভাই-বোন/শালা-সম্বন্ধী থাকে তো বলাইবাহুল্য যে কতো জগদ্দল দায়িত্ব ঘাড়ে চাপে একজন পুরুষের। সাথে নারী সঙ্গীর পরিবারের সদস্যও আত্মীওদের বুঝে নিতে, তাদের সাথে মানিয়ে চলতে পুরুষটাকে যে কি এক বিভীষিকাময় পরীক্ষার ভেতর দিয়ে যেতে হয় প্রতিনিয়ত  !

বেচারা পুরুষ, এতো মেহনত করেও দিনশেষে সেই পুরুষকেই দোষী হতে হয়...

(After marrige females & girls became more happier than ever. But the battle of life of a boy just starts...)